Header Ads

সম্রাট শাহজাহানের ভুয়া প্রেম -লিংকন ভদ্র।

সম্রাট শাহজাহানের মত মানুষ কাউকে ভালবাসার যোগ্যতা রাখে না। মমতাজ ও শাহজাহনের রসালো প্রেমের গল্প মূলত লোকমুখে সৃষ্ট। কিন্তু বাস্তবে তাদের মধ্যে কোনো ধরনের প্রেমের সম্পর্ক থাকার কথা নয়।
সম্রাট শাহজাহান ও মমতাজের প্রেম কাহিনীতে বলা হয়েছে যে, সম্রাট শাহজাহান মমতাজকে বাজারে দেখতে পান এবং প্রথম দেখাতেই মমতাজকে পছন্দ করে ফেলেন। এটা কোন নিন্দনীয় বিষয় নয় বরং পছন্দ কারার অধিকার সবার আছে।কিন্তু
প্রেমের ক্ষেত্রে নারী এবং পুরুষ উভয়ের সম্মতি এবং ভাললাগাটা জরুরি। শাহজাহানের সাথে প্রেমের সম্পর্কে মমতাজ মহলের সম্মতি ছিল কি?
উত্তর:না।
কিন্তুু কেন?
উত্তর:বাকিটা পড়লেই কারনটা জানতে পারবেন।
আপনি জানেন কি?
শাহজাহানের সাথে বিয়ে হওয়ার আগেও মমতাজের বিয়ে হয়েছিল এবং সম্রাট শাহজাহান মমতাজের সেই স্বামীকে হত্যা করে তারপর মমতাজকে বিয়ে করেছিল।
কোনো মেয়েই তার স্বামীর হত্যাকারীকে ভালবাসতে পারে না।কারো স্বামীকে হত্যা করে তার বউকে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করাকে প্রেম বলে না। বরং একে নারী হরণ বলে,যাকে আমরা ডাকতির সাথেও তুলনা করতে পারি।

শুধু তাই নয় মমতাজের আগেও সম্রাট শাহজাহানের আরও ৩ জন স্ত্রী ছিলেন এবং মমতাজকে বিয়ে করার পরও সম্রাট শাহজাহান আরও তিনটি বিয়ে করেন।
এমনকি মমতাজ মারা যাওয়ার পর শাহজাহান মমতাজের আপন ছোট বোনকে বিয়ে করেন।
অধিকন্তু,
তাজমহলের ডিজাইনারের নাম ছিল- ঈশা মোহাম্মদ। তিনি তার স্ত্রীকে উপহার দেয়ার জন্য একটি ভাস্কর্য বানিয়েছিলেন। পরে সম্রাট শাহজাহানের পছন্দ হওয়াতে সেই ডিজাইনের আদলে বানানো হয় বিশ্ববিখ্যাত তাজমহল এবং সেই ব্যক্তিটির চোখ নষ্ট করে দেওয়া হয় যাতে তিনি নতুন করে আর এই ডিজাইন তৈরি করতে না পারেন।

শুধু তাই নয়,
যে বিশ হাজার শ্রমিক দিন রাত খেটে এই মহলটি তৈরি করেছিলেন তাদের হাতও কেটে দিয়েছিলেন সম্রাট শাহজাহান।

এমন লম্পট , হত্যাকারী,মানসিক বিকারগ্রস্ত, অপহরণকারী ইত্যাদি বিশেষণে যে বিশেষায়িত, সে কি করে কারও প্রেমিক হতে পারে?
স্বয়ং বিচার করুন।

1 comment:

Powered by Blogger.