Header Ads

জীবনে সুখ লাভের কতিপয় পন্থা -লিংকন ভদ্র


জীবনচক্রের আবর্তনে প্রতিটি সাধারণ  মানুষের প্রত্যাশা হচ্ছে উত্তম পন্তায় সর্বোচ্চ সুখ প্রাপ্তি।
প্রকৃতপক্ষে সুখ লাভ করার উপাদানসমূহের মানদণ্ড নির্ধারণ করা খুবই দুরূহ কাজ।
আমার নিজস্ব পর্যবেক্ষণ এবং বোধের আলোকে, সুখ লাভ করার  কিছু উপায় সম্পর্কে আলোকপাত করলাম।

১.নিজের সন্তুষ্টি অর্জনের মানদণ্ড এবং মাধ্যম নিজের মত করে নিরুপন করুন যা অবশ্যই অর্জনযোগ্য।
২. নিজেকে নিয়ে কিছুক্ষণ ভাবুন এবং নিজেকে ভালো রাখার জন্যে আপনার করনীয় সম্পর্কে অবগত হোন,যা কিনা আপনার প্রত্যাশা অনুযায়ী স্বয়ং নিজেকে প্রশ্ন করে জেনে নিতে হবে।
৩. সর্বদা প্রকৃতির নির্মল পরিবেশে থাকার প্রয়াস করুন এবং ভালবাসুন আপনার কাছের মানুষদের তথা ঈশ্বরের সমগ্র সৃষ্টিকে।ভালবাসা হচ্ছে এমন বস্তু যা আপনার খাদ নিষ্কাশনের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম হতে পারে।
৪.আপনি সর্বদা অন্যের মুখে হাসি ফোটানো তথা হিতের কারণ হওয়ার প্রয়াস করুন।
৫. অপরকে ঘৃণা না করে করে বরং সকলকে ক্ষমা করে দেয়ার অভ্যাস গড়ুন।
৬. অতীতের ভুলসমূহ মনে না রাখা বরং সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে উত্তম ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে অগ্রসর হোন।
৭. অন্যের সাথে নিজের তুলনা আপনাকে কেবল অহংকারী বা হেয় করে তোলে যা অবশ্যই বর্জন করতে হবে।
৮. কেউ আপনার সুখের দায়িত্ব নিতে বসে নেই।সুখের অন্বেষণ স্বয়ং আপনাকেই করতে  হবে তা অবশ্যই উত্তম পন্তায়।
৯.আপনার সৎকর্ম এবং পরহিতে ত্যাগ সর্বদায় আপনাকে সুখ প্রদান করবে।
১০.লোকে আপনাকে নিয়ে কি ভাবছে তা নিয়ে না ভেবে বরং আপনি আপনাকে কি ভাবছেন সেটা মূল্যায়ণ করুন ও সঠিক কাজটি করুন।
১১. কষ্ট পুষে রাখা সন্তষ্টি অর্জনের মার্গে প্রধান অন্তরায়,কষ্ঠকে দ্রুত ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করুন (যদিও সবসময় সহজে ভুলা যায় না)
বি. দ্রঃ এমনও মানুষ আছেন, যারা অন্যের ক্ষতি করে সুখ লাভ করেন।এক্ষেত্রে উনাদের দোষ দেওয়া যায়না। কারণ উনারা  সমাজের ভোগবাদী প্রবণতার দ্বারা আকৃষ্ট হয়ে ক্ষমতার লোভে এরকমটা করে থাকেন।মূল্যবোধের চর্চার মাধ্যমে নৈতিকতার ভিত্তি দৃঢ় করা,আইনের শাসন এবং মনোবিজ্ঞানীদের সাহায্য নিয়ে উনাদের মানসিক অবস্থার উন্নয়ন সম্ভব।  কারণ মানুষের স্বভাবিক ধর্ম হচ্ছে মানবিকতা। 

#একান্তই নিজস্ব মতবাদ।
লিংকন ভদ্র, 
বিবিএ,ব্যাংকিং এন্ড ইন্সরেন্স বিভাগ 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

No comments

Powered by Blogger.