ভূতের সম্মূখীন -লিংকন ভদ্র।
৮ই জানুয়ারি ২০১৫,
ঘড়িতে বাজে ভোর ৩:৩০,
আমার গন্তব্য মাইল খানেক দূরের একটি যাত্রাপালার অনুষ্ঠান।এত রাতে বাড়ি থেকে যেতে দেয় না। তাই বাড়ির সবার অজান্তেই লুকিয়ে প্রতিরাতে যাত্রাপালার অনুষ্ঠান দেখতে যেতাম। আমার শোবার ঘর আলাদা হওয়ার ফলে, আমি সহজেই সবার নজর এড়িয়ে চুপিসারে চলে যেতে পারতাম।
আমি অনেক সাহসী যুবক হওয়া সত্ত্বেও আজ আমার একটি বিশেষ কারণে ক্ষাণিকটা ভয় করছে।
এই ভয়ের কারণ হচ্ছে, আমার গ্রামের ১৪ বছর বয়সের একটি মেয়ে।সে গতকাল নিজের শরীরে নিজেই আগুন জ্বালিয়ে অাত্মহত্যা করেছে।
সে কেন আত্মহত্যা করেছে সে সম্পর্কে আমি বিস্তারিত জানিনা।তবে এটা অন্ততপক্ষে বুঝতে পেরেছিলাম যে, প্রেম সংক্রান্ত কিছু একটা কারণ হবে হয়ত।
সে যাই হোক। আমি এসব নিয়ে ভেবে ভয় পেতে চাই না।
আমার কাঙ্ক্ষিত স্থানে পৌঁছানোর জন্য আমার নিকট দুইটি বিকল্প পথ রয়েছে।
একটি হল আমাকে শ্মশানঘাটের পাশ দিয়ে যেতে হবে। অন্যথায় একটি ভয়ংকর জঙ্গলের মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
আমি লোকমুখে শুনেছিলাম শ্মশান নাকি অত্যন্ত পবিত্র জায়গা।তাই আজ আমি শ্মশানের পাশ দিয়েই যাব বলে ঠিক করলাম।
মুখে রাম-কৃষ্ণের নাম নিয়ে এগিয়ে চললাম।
অমাবস্যার তিমিরের ঘন কুয়াশা আবৃত রাস্থা দিয়ে মোবাইলের ক্ষীণ আলোর সাহায্যে চলতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।তবুও আনন্দ লাভের নিমিত্তে এগিয়ে চললাম।
নির্জন রাত এবং ঝিঁঝিঁ পোকার শব্দের সহিত অজানা পাখির আকস্মিক ডাকে মাঝে-মাঝে হৃদয়ে ভয়ের শিহরন জাগ্রত হচ্ছিল।
তবুও এগিয়ে চললাম,কারণ যাত্রাপালার বাদ্যের ব্যাঞ্জনা যেন আমাকে চুম্বকের ন্যায় টানছে।
খাল পেরিয়েই শ্মশানঘাট, সেটা পার হতে পারলেই, সব ভয়ের অবসান।
ঘড়িতে বাজে ৩:৪০।
শ্মশানঘাটের পাশেই কয়েকটি ছোট-ছোট গাছের সমাহার, যেখানটায় মাত্র পৌঁছালাম।
হঠাৎ কেন জানি অনুভব করলাম আমার আশেপাশে যেন কেউ আছে। আমি চারিদিকে তাকাতে লাগলাম, কিন্তু কাউকে দেখতে পাচ্ছিলাম না।
কারণ অতি ঘন কুয়াশার দরুন হাত দশেক দূরের কিছুই দেখা যাচ্ছে না।
আমি একটু দ্রুত এগিয়ে যেতে চেষ্টা করলাম,কিন্তু হঠাৎ থেমে গেলাম এবং লক্ষ্য করলাম সামনে কেউ আছে বা কিছু একটা দেখা যাচ্ছে।
কিন্ত তার চেহারা অস্পষ্ট।তবে মোবাইলের আলোর দ্বারা এটা বোঝা যাচ্ছে যে, শ্বেতবস্ত্রে আবৃত কোনো রমনী।
আমি ভয়ার্ত কষ্ঠে অস্পষ্ট স্বরে প্রশ্ন করলাম: কে তুমি?
মেয়েটি বলল:-আমি রুপা।
আমি:কি?রুপা!যে গতকাল আত্মহত্যা করেছে।
রুপা:হ্যা।
একথা শোনে আমি প্রচন্ড ভয় পেয়ে গেলাম আর ভয়ার্ত কন্ঠে চিৎকার করে বলতে লাগলাম, আমাকে বাঁচান, কেউ আমাকে বাঁচান,আশেপাশে কেউ আছেন কি?
কিন্তু আমার কন্ঠ থেকে খুবই কম আওয়াজ বের হচ্ছে।তাই কেউই আমার কথা শুনতে পাবে না এটা মোটামোটি নিশ্চিত। এমনকি শ্মশানঘাটের আশে-পাশে কোনো বসতি নেই।কেউ আমাকে সাহায্য করতে আসবে না সেটাও নিশ্চিত। ফলে আমার হাত-পা ভয় এবং ঠান্ডায় যেন প্রায় জমে যাচ্ছে।এর ফলে পা চালানোর শক্তি যেন নিমিষেই হ্রাস পেয়েছে।
রুপা :দয়া করে আমাকে ভয় পাবেন না।
আমি:সম্মুখে ভূত, আর আমাকে বলতেছ, ভয় না পেতে।
রুপা :আমি ভূত সেটা যেমন সত্য, আমি আপনার কোনো ধরনের ক্ষতি করব না সেটাও অসত্য নয়।
আমি অভয় পেয়ে একটু স্বাভাবিক হয়ে প্রশ্ন করলাম:তুমি এখানে কেন?
রুপা:আমি এক অতৃপ্ত আত্মা, আত্মহত্যা করার কারণে যার ইহকাল এবং পরকাল দুইই অভিশপ্ত হয়ে গেছে।অাত্মহত্যা করার কারণে আমার আত্মার মুক্তি হয়নি। তাই এখন ভূত হয়ে এখানে-সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছি।
আমি:এত কম বয়সে নিজেকে শেষ করার কি এমন কারণ?
রুপা:ভালবাসা।
আমি: ভালবাসা!সেটা কিভাবে?
রুপা:আমি ভালবেসেছিলাম পাশের গ্রামের অনিরুদ্ধকর অনিক দা কে। যে মিথ্যে ভালবাসার দ্বারা ভূলুণ্ঠিত করেছে তার প্রতি আমার অগাধ বিশ্বাসকে এবং কেড়ে নিয়েছে আমার পবিত্রতা এমনকি বেঁচে থাকার জন্য নূন্যতম সম্মান।
আমি:কারো সম্মান নেওয়ার সামর্থ্য কারোর নেই,মানুষ নিজের সম্মান কেবল নিজের দ্বারাই বিনষ্ট করতে পারে।সেটা তোমার বোঝা উচিত ছিল।
রুপা:সামাজিক চাপ এবং পরিবারের মানুষের অবহেলায় নিজেকে আমি নিকৃষ্ট পাপী হিসেবে গণ্য করেছি।তাই মন অশান্ত থাকা অবস্থায় যা হওয়ার তা হয়ে গেছে,এখন তো আর বদলানো যাবে না।
আমি বিস্মিত হয়ে প্রশ্ন করলাম:এখন কেমন আছ?
রুপা:অাত্মহত্যা যেখানে মহাপাপ,নরক যেখানে সুনিশ্চিত, অসহ্য যন্ত্রনা যেখানে ক্রমাগত চলতে থাকে, স্বর্গ যার জন্যে চিরতরে নিষিদ্ধ, সে ভাল থাকবে কেমন করে?
আমি: বুঝলাম, সত্যিই ব্যাপারটা বেদনাদায়ক,তবে তোমার চূড়ান্ত বিচারে তুমি তোমার ঈশ্বরকে এই প্রশ্ন অবশ্যই করবে যে, তোমার বিশ্বাস করা কি ভুল ছিল?
সব হারিয়ে যখন তুমি নিঃস্ব, হতাশা আর অসম্মান যখন তোমাকে গ্রাস করছিল, তখন কি তিনি আশার বাণী কিংবা সুমতি দিতে পারতেন না?
আর ঈশ্বরের ইচ্ছাতেই যদি সব হয়, তাহলে তোমার পাপ হবে কেন?
তুমি তো কেবল ঈশ্বরের পরিকল্পনার অংশ মাত্র।
তুমি তো একটা বাচ্চা মেয়ে।সামাজিক চাপে ভুল করে আত্মহত্যা করেছে।সেজন্য কেন তোমাকে এত কঠিন শাস্তি পেতে হচ্ছে?
তোমার স্থান তো হওয়া উচিত স্বর্গে। ইহলোক এবং পরলোক দুই জায়গাতেই কেন তোমার উপর অত্যাচার করা হবে?
রূপা:আচ্ছা ঠিক আছে,আমি উনাকে জিজ্ঞাসা করব।
আমি আবারও বলতে লাগলাম,
পৃথীবীতে যেখানে নাবালকদের কে লঘু শাস্তি দেওয়া হয়, সেখানে ঈশ্বর অনেক দয়ালু হয়েও কেন তোমাকে এত বেশি যন্ত্রণা দিচ্ছে?
রুপা:হয়ত কম বয়সেই বেশী পেকে গেছিলাম, তাই।
হঠাৎ দূর থেকে ভেসে আসা মোয়াজ্জিনের আযানের ধ্বনি শুনতে পেলাম।
রুপা:এখন যাই, আমার সময় শেষ, অন্য একদিন কথা হবে।
আমি:আমার যে আরও কিছু প্রশ্ন আছে?
রুপা:অন্য একদিন উত্তর দিব।
রুপার কথা ভেবে মনটা খারাপ হয়ে গেল এবং কিছু প্রশ্ন নিয়ে ভাবতে-ভাবতে নিজের রুমে এসে শুয়ে পড়লাম।
ঘড়িতে বাজে ভোর ৩:৩০,
আমার গন্তব্য মাইল খানেক দূরের একটি যাত্রাপালার অনুষ্ঠান।এত রাতে বাড়ি থেকে যেতে দেয় না। তাই বাড়ির সবার অজান্তেই লুকিয়ে প্রতিরাতে যাত্রাপালার অনুষ্ঠান দেখতে যেতাম। আমার শোবার ঘর আলাদা হওয়ার ফলে, আমি সহজেই সবার নজর এড়িয়ে চুপিসারে চলে যেতে পারতাম।
আমি অনেক সাহসী যুবক হওয়া সত্ত্বেও আজ আমার একটি বিশেষ কারণে ক্ষাণিকটা ভয় করছে।
এই ভয়ের কারণ হচ্ছে, আমার গ্রামের ১৪ বছর বয়সের একটি মেয়ে।সে গতকাল নিজের শরীরে নিজেই আগুন জ্বালিয়ে অাত্মহত্যা করেছে।
সে কেন আত্মহত্যা করেছে সে সম্পর্কে আমি বিস্তারিত জানিনা।তবে এটা অন্ততপক্ষে বুঝতে পেরেছিলাম যে, প্রেম সংক্রান্ত কিছু একটা কারণ হবে হয়ত।
সে যাই হোক। আমি এসব নিয়ে ভেবে ভয় পেতে চাই না।
আমার কাঙ্ক্ষিত স্থানে পৌঁছানোর জন্য আমার নিকট দুইটি বিকল্প পথ রয়েছে।
একটি হল আমাকে শ্মশানঘাটের পাশ দিয়ে যেতে হবে। অন্যথায় একটি ভয়ংকর জঙ্গলের মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
আমি লোকমুখে শুনেছিলাম শ্মশান নাকি অত্যন্ত পবিত্র জায়গা।তাই আজ আমি শ্মশানের পাশ দিয়েই যাব বলে ঠিক করলাম।
মুখে রাম-কৃষ্ণের নাম নিয়ে এগিয়ে চললাম।
অমাবস্যার তিমিরের ঘন কুয়াশা আবৃত রাস্থা দিয়ে মোবাইলের ক্ষীণ আলোর সাহায্যে চলতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।তবুও আনন্দ লাভের নিমিত্তে এগিয়ে চললাম।
নির্জন রাত এবং ঝিঁঝিঁ পোকার শব্দের সহিত অজানা পাখির আকস্মিক ডাকে মাঝে-মাঝে হৃদয়ে ভয়ের শিহরন জাগ্রত হচ্ছিল।
তবুও এগিয়ে চললাম,কারণ যাত্রাপালার বাদ্যের ব্যাঞ্জনা যেন আমাকে চুম্বকের ন্যায় টানছে।
খাল পেরিয়েই শ্মশানঘাট, সেটা পার হতে পারলেই, সব ভয়ের অবসান।
ঘড়িতে বাজে ৩:৪০।
শ্মশানঘাটের পাশেই কয়েকটি ছোট-ছোট গাছের সমাহার, যেখানটায় মাত্র পৌঁছালাম।
হঠাৎ কেন জানি অনুভব করলাম আমার আশেপাশে যেন কেউ আছে। আমি চারিদিকে তাকাতে লাগলাম, কিন্তু কাউকে দেখতে পাচ্ছিলাম না।
কারণ অতি ঘন কুয়াশার দরুন হাত দশেক দূরের কিছুই দেখা যাচ্ছে না।
আমি একটু দ্রুত এগিয়ে যেতে চেষ্টা করলাম,কিন্তু হঠাৎ থেমে গেলাম এবং লক্ষ্য করলাম সামনে কেউ আছে বা কিছু একটা দেখা যাচ্ছে।
কিন্ত তার চেহারা অস্পষ্ট।তবে মোবাইলের আলোর দ্বারা এটা বোঝা যাচ্ছে যে, শ্বেতবস্ত্রে আবৃত কোনো রমনী।
আমি ভয়ার্ত কষ্ঠে অস্পষ্ট স্বরে প্রশ্ন করলাম: কে তুমি?
মেয়েটি বলল:-আমি রুপা।
আমি:কি?রুপা!যে গতকাল আত্মহত্যা করেছে।
রুপা:হ্যা।
একথা শোনে আমি প্রচন্ড ভয় পেয়ে গেলাম আর ভয়ার্ত কন্ঠে চিৎকার করে বলতে লাগলাম, আমাকে বাঁচান, কেউ আমাকে বাঁচান,আশেপাশে কেউ আছেন কি?
কিন্তু আমার কন্ঠ থেকে খুবই কম আওয়াজ বের হচ্ছে।তাই কেউই আমার কথা শুনতে পাবে না এটা মোটামোটি নিশ্চিত। এমনকি শ্মশানঘাটের আশে-পাশে কোনো বসতি নেই।কেউ আমাকে সাহায্য করতে আসবে না সেটাও নিশ্চিত। ফলে আমার হাত-পা ভয় এবং ঠান্ডায় যেন প্রায় জমে যাচ্ছে।এর ফলে পা চালানোর শক্তি যেন নিমিষেই হ্রাস পেয়েছে।
রুপা :দয়া করে আমাকে ভয় পাবেন না।
আমি:সম্মুখে ভূত, আর আমাকে বলতেছ, ভয় না পেতে।
রুপা :আমি ভূত সেটা যেমন সত্য, আমি আপনার কোনো ধরনের ক্ষতি করব না সেটাও অসত্য নয়।
আমি অভয় পেয়ে একটু স্বাভাবিক হয়ে প্রশ্ন করলাম:তুমি এখানে কেন?
রুপা:আমি এক অতৃপ্ত আত্মা, আত্মহত্যা করার কারণে যার ইহকাল এবং পরকাল দুইই অভিশপ্ত হয়ে গেছে।অাত্মহত্যা করার কারণে আমার আত্মার মুক্তি হয়নি। তাই এখন ভূত হয়ে এখানে-সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছি।
আমি:এত কম বয়সে নিজেকে শেষ করার কি এমন কারণ?
রুপা:ভালবাসা।
আমি: ভালবাসা!সেটা কিভাবে?
রুপা:আমি ভালবেসেছিলাম পাশের গ্রামের অনিরুদ্ধকর অনিক দা কে। যে মিথ্যে ভালবাসার দ্বারা ভূলুণ্ঠিত করেছে তার প্রতি আমার অগাধ বিশ্বাসকে এবং কেড়ে নিয়েছে আমার পবিত্রতা এমনকি বেঁচে থাকার জন্য নূন্যতম সম্মান।
আমি:কারো সম্মান নেওয়ার সামর্থ্য কারোর নেই,মানুষ নিজের সম্মান কেবল নিজের দ্বারাই বিনষ্ট করতে পারে।সেটা তোমার বোঝা উচিত ছিল।
রুপা:সামাজিক চাপ এবং পরিবারের মানুষের অবহেলায় নিজেকে আমি নিকৃষ্ট পাপী হিসেবে গণ্য করেছি।তাই মন অশান্ত থাকা অবস্থায় যা হওয়ার তা হয়ে গেছে,এখন তো আর বদলানো যাবে না।
আমি বিস্মিত হয়ে প্রশ্ন করলাম:এখন কেমন আছ?
রুপা:অাত্মহত্যা যেখানে মহাপাপ,নরক যেখানে সুনিশ্চিত, অসহ্য যন্ত্রনা যেখানে ক্রমাগত চলতে থাকে, স্বর্গ যার জন্যে চিরতরে নিষিদ্ধ, সে ভাল থাকবে কেমন করে?
আমি: বুঝলাম, সত্যিই ব্যাপারটা বেদনাদায়ক,তবে তোমার চূড়ান্ত বিচারে তুমি তোমার ঈশ্বরকে এই প্রশ্ন অবশ্যই করবে যে, তোমার বিশ্বাস করা কি ভুল ছিল?
সব হারিয়ে যখন তুমি নিঃস্ব, হতাশা আর অসম্মান যখন তোমাকে গ্রাস করছিল, তখন কি তিনি আশার বাণী কিংবা সুমতি দিতে পারতেন না?
আর ঈশ্বরের ইচ্ছাতেই যদি সব হয়, তাহলে তোমার পাপ হবে কেন?
তুমি তো কেবল ঈশ্বরের পরিকল্পনার অংশ মাত্র।
তুমি তো একটা বাচ্চা মেয়ে।সামাজিক চাপে ভুল করে আত্মহত্যা করেছে।সেজন্য কেন তোমাকে এত কঠিন শাস্তি পেতে হচ্ছে?
তোমার স্থান তো হওয়া উচিত স্বর্গে। ইহলোক এবং পরলোক দুই জায়গাতেই কেন তোমার উপর অত্যাচার করা হবে?
রূপা:আচ্ছা ঠিক আছে,আমি উনাকে জিজ্ঞাসা করব।
আমি আবারও বলতে লাগলাম,
পৃথীবীতে যেখানে নাবালকদের কে লঘু শাস্তি দেওয়া হয়, সেখানে ঈশ্বর অনেক দয়ালু হয়েও কেন তোমাকে এত বেশি যন্ত্রণা দিচ্ছে?
রুপা:হয়ত কম বয়সেই বেশী পেকে গেছিলাম, তাই।
হঠাৎ দূর থেকে ভেসে আসা মোয়াজ্জিনের আযানের ধ্বনি শুনতে পেলাম।
রুপা:এখন যাই, আমার সময় শেষ, অন্য একদিন কথা হবে।
আমি:আমার যে আরও কিছু প্রশ্ন আছে?
রুপা:অন্য একদিন উত্তর দিব।
রুপার কথা ভেবে মনটা খারাপ হয়ে গেল এবং কিছু প্রশ্ন নিয়ে ভাবতে-ভাবতে নিজের রুমে এসে শুয়ে পড়লাম।
No comments