বিপ্লবের প্রেমের দর্শন -লিংকন ভদ্র
আমি প্রায়ই বলে থাকি,
যৌবনের সূচনালগ্ন থেকে শেষ নিঃশাস পর্যন্ত মানুষের মনের বাগিচায় প্রেমের ফুল ফুটে বারংবার এবং সেটাই স্বাভাবিক।
কিন্তু আমার বন্ধু বিপ্লব খালকো নিজেকে একদম এর ব্যতিক্রম মনে করে।
সে শুধু একজনকেই সত্যিকারের ভালবাসে এবং সারাজীবন নাকি তাকেই ভালবেসে যাবে।
বিপ্লব খালকো এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং এন্ড ইন্সুরেন্স বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র।সে যে মেয়েটিকে ভালবাসে তার সম্পর্কে কিছু বলা বারণ আছে। তবে যতটুকু বলার অনুমতি পেয়েছি ততটুকু তো বলতে পারি,তাই না?
যৌবনের সূচনালগ্ন থেকে শেষ নিঃশাস পর্যন্ত মানুষের মনের বাগিচায় প্রেমের ফুল ফুটে বারংবার এবং সেটাই স্বাভাবিক।
কিন্তু আমার বন্ধু বিপ্লব খালকো নিজেকে একদম এর ব্যতিক্রম মনে করে।
সে শুধু একজনকেই সত্যিকারের ভালবাসে এবং সারাজীবন নাকি তাকেই ভালবেসে যাবে।
বিপ্লব খালকো এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং এন্ড ইন্সুরেন্স বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র।সে যে মেয়েটিকে ভালবাসে তার সম্পর্কে কিছু বলা বারণ আছে। তবে যতটুকু বলার অনুমতি পেয়েছি ততটুকু তো বলতে পারি,তাই না?
গল্পটি হলো এরকম, সে একটি মেয়েকে অনেক বেশি ভালবাসে।
আমি একদিন বিপ্লবকে তিরস্কার করে বলেছিলাম,
বলতেই যদি না পারিস, তাহলে কি লাভ ভালবেসে?
বিপ্লব:ভালবাসা আমার কাছে কোনো ব্যবসা নয়। তাই এখানে লাভ-ক্ষতির প্রশ্ন অযৌক্তিক।
আমার ভালবাসা আমাদের ক্লাসের মোস্থাফিজুর রহমান নীলের ভালবাসার মতো।তুই তো জানিস,
সেই ১ম বর্ষ থেকে মোস্থাফিজ যে মেয়েটিকে ভালবাসতো, সেই মেয়েটি সম্প্রতি অন্য একটি ছেলের সাথে প্রেম করে। ব্যাপারটা মোস্তাফিজ জানে, তবুও সে এখনো মেয়েটিকে অনেক ভালবাসে। এটাই হয়ত প্রকৃত ভালবাসার স্বরুপ।
অপরদিকে,
আমিও তথাকথিত প্রেমিকদের মতো নই, যে ভালবাসার মানুষটিকে নিজের করে পেতেই হবে।আমার কাছে ভালবাসা ব্যাপারটা জৈবিক নয় বরং কিছুটা মানসিক তৃপ্তির আর কিছুটা ঐশ্বরীক বিষয়।আমি করে করি,
প্রিয় মানুষ বা প্রিয় জিনিস যত দূরে থাকবে তার গুরুত্ব তোর কাছে ততই বেশি হবে।
যেমন চাঁদ এবং নক্ষত্রপুঞ্জ দূরে আছে বিধায় আমাদের কাছে এর মহিমা অধিক।যার ফলে মাঝে মধ্যে প্রেমিকার মন জয় করার জন্যে তার হাতে চাঁদকেও এনে দেওয়ার মত বাসনা আমরা করে থাকি।
যদি সহজেই আমরা চাঁদের সান্নিধ্য পেয়ে যেতাম, তাহলে চাঁদ তার বর্তমান আপন মহিমা হারাতো।
তাই নয় কি?একটু ভেবে দেখ।
আমি পুনরায় বিপ্লবকে বলেছিলাম যে,এত ভাবতে পারব না,আরে ব্যাটা বলেই দেখ না, কি হয়।
বিপ্লব:আমি মোটামুটি নিশ্চিত সে রাজী হবে না।শুধু শুধু কি দরকার আমাদের মধ্যে অযথাই একটা বিব্রতকর সম্পর্কের সৃষ্টি করে আমাদের অনাগত দিনগুলোকে বিষাক্ত করে তোলা।সাধারণত বিবর্তনগত কারণে,
অতি পছন্দের সেই মেয়েটি আবার তার ক্লাসমেট।
এবার মূল কথায় আসি,
বিপ্লবের জীবনে প্রথম প্রেমের ফুল ফোটেছিল যখন সে স্নাতক ২য় বর্ষে পড়তো।
এবার মূল কথায় আসি,
বিপ্লবের জীবনে প্রথম প্রেমের ফুল ফোটেছিল যখন সে স্নাতক ২য় বর্ষে পড়তো।
মেয়েটিকে প্রথম দেখাতে ভালো লাগলেও প্রেমে পড়েছিল ধীরে ধীরে।
চিকনি চামিলী গড়ন সদা হাস্যোজ্জ্বল পাকা মেওয়া ফলের মতো শুভ্র মেয়েটাকে তার খুবই পছন্দ হয়েছিল।মেয়েটির কথাবার্তা, চালচলন আর বিশেষকরে তার দৃঢ় ব্যক্তিত্ব বিপ্লবকে একতরফা প্রেমে পড়তে বাধ্য করেছিল।
চিকনি চামিলী গড়ন সদা হাস্যোজ্জ্বল পাকা মেওয়া ফলের মতো শুভ্র মেয়েটাকে তার খুবই পছন্দ হয়েছিল।মেয়েটির কথাবার্তা, চালচলন আর বিশেষকরে তার দৃঢ় ব্যক্তিত্ব বিপ্লবকে একতরফা প্রেমে পড়তে বাধ্য করেছিল।
তবে এখন পর্যন্ত মেয়েটিকে এ বিষয়ে সে জানাতে পারেনি।কোনোদিন সে হয়ত জানতেও পারবে না।তাতে অবশ্য বিপ্লবের কিছু যায় আসে না।
আমি একদিন বিপ্লবকে তিরস্কার করে বলেছিলাম,
বলতেই যদি না পারিস, তাহলে কি লাভ ভালবেসে?
বিপ্লব:ভালবাসা আমার কাছে কোনো ব্যবসা নয়। তাই এখানে লাভ-ক্ষতির প্রশ্ন অযৌক্তিক।
আমার ভালবাসা আমাদের ক্লাসের মোস্থাফিজুর রহমান নীলের ভালবাসার মতো।তুই তো জানিস,
সেই ১ম বর্ষ থেকে মোস্থাফিজ যে মেয়েটিকে ভালবাসতো, সেই মেয়েটি সম্প্রতি অন্য একটি ছেলের সাথে প্রেম করে। ব্যাপারটা মোস্তাফিজ জানে, তবুও সে এখনো মেয়েটিকে অনেক ভালবাসে। এটাই হয়ত প্রকৃত ভালবাসার স্বরুপ।
অপরদিকে,
আমিও তথাকথিত প্রেমিকদের মতো নই, যে ভালবাসার মানুষটিকে নিজের করে পেতেই হবে।আমার কাছে ভালবাসা ব্যাপারটা জৈবিক নয় বরং কিছুটা মানসিক তৃপ্তির আর কিছুটা ঐশ্বরীক বিষয়।আমি করে করি,
প্রিয় মানুষ বা প্রিয় জিনিস যত দূরে থাকবে তার গুরুত্ব তোর কাছে ততই বেশি হবে।
যেমন চাঁদ এবং নক্ষত্রপুঞ্জ দূরে আছে বিধায় আমাদের কাছে এর মহিমা অধিক।যার ফলে মাঝে মধ্যে প্রেমিকার মন জয় করার জন্যে তার হাতে চাঁদকেও এনে দেওয়ার মত বাসনা আমরা করে থাকি।
যদি সহজেই আমরা চাঁদের সান্নিধ্য পেয়ে যেতাম, তাহলে চাঁদ তার বর্তমান আপন মহিমা হারাতো।
তাই নয় কি?একটু ভেবে দেখ।
আমি পুনরায় বিপ্লবকে বলেছিলাম যে,এত ভাবতে পারব না,আরে ব্যাটা বলেই দেখ না, কি হয়।
বিপ্লব:আমি মোটামুটি নিশ্চিত সে রাজী হবে না।শুধু শুধু কি দরকার আমাদের মধ্যে অযথাই একটা বিব্রতকর সম্পর্কের সৃষ্টি করে আমাদের অনাগত দিনগুলোকে বিষাক্ত করে তোলা।সাধারণত বিবর্তনগত কারণে,
আমরা যারা মানুষ তারা নিজের শ্রেণীর কারো প্রতি খুব বেশি আকৃষ্ট হই না এবং সেটাই হয়ত স্বাভাবিক।অপরদিকে বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞান অনুসারে,
মানুষ আকৃষ্ট হয় অধরা স্বপ্নের প্রতি,অসাধ্য সাধনের প্রতি, দুর্গম গন্তব্যের প্রতি,রহস্যময় জগতের প্রতি,উন্নত প্রজন্ম সৃষ্টির প্রতি।
আর আমি যার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছি, তাকে পাওয়া বলতে গেলে আমার সাধ্যের বাইরে।
আর যদি অজস্র বাঁধা পেরিয়ে আমি যদি তাকে পেয়েও যাই, তবে ক্রমান্বয়ে আমার কাছে তার গুরুত্ব হয়তো কমে যেতে পারে, এবং সেটাও হয়তো ক্রমহ্রাসমান উপযোগ বিধির ন্যায় স্বাভাবিক প্রবণতা।কারণ যে বস্তু আমরা পেয়ে যাই তার গুরুত্ব স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনেকটা কমে যায়।তখন হয়ত নতুন কোনো অধরা স্বপ্ন আমাকে ঘিরে ধরবে। তখন প্রশ্নবিদ্ধ হবে আমার প্রথম ভালবাসা।
আমার ধারনা তার প্রতি ভালবাসার গাঢ়তা মিলনে কমে যাবে কিন্তু বিরহে জ্যামেতিক হারে বেড়েই যাবে নিরন্তর।যা আমার জীবনকে আরও অর্থবহ করে তুলবে।আমার প্রেম অনেকটা রবি ঠাকুরের শেষের কবিতা উপন্যাসের অমিত-লাবণ্যের প্রেমের মতো।আমাদের মধ্যে দূরত্বের ধরুন বিরহ আসলেও মনস্তাত্ত্বিক বিচ্ছেদ অসম্ভব।
আমি আবারও একটু বিরক্ত হয়ে ওকে বলেছিলাম,
আরে ব্যাটা এতকথা বলিস কেন?বলে দেখ না।যদি রাজী হয় বিয়ে করে নিস।
বিপ্পব:আচ্ছা যদি প্রেমের প্রস্তাব দিই,
তাহলে কি ঘটবে?
আর যদি অজস্র বাঁধা পেরিয়ে আমি যদি তাকে পেয়েও যাই, তবে ক্রমান্বয়ে আমার কাছে তার গুরুত্ব হয়তো কমে যেতে পারে, এবং সেটাও হয়তো ক্রমহ্রাসমান উপযোগ বিধির ন্যায় স্বাভাবিক প্রবণতা।কারণ যে বস্তু আমরা পেয়ে যাই তার গুরুত্ব স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনেকটা কমে যায়।তখন হয়ত নতুন কোনো অধরা স্বপ্ন আমাকে ঘিরে ধরবে। তখন প্রশ্নবিদ্ধ হবে আমার প্রথম ভালবাসা।
আমার ধারনা তার প্রতি ভালবাসার গাঢ়তা মিলনে কমে যাবে কিন্তু বিরহে জ্যামেতিক হারে বেড়েই যাবে নিরন্তর।যা আমার জীবনকে আরও অর্থবহ করে তুলবে।আমার প্রেম অনেকটা রবি ঠাকুরের শেষের কবিতা উপন্যাসের অমিত-লাবণ্যের প্রেমের মতো।আমাদের মধ্যে দূরত্বের ধরুন বিরহ আসলেও মনস্তাত্ত্বিক বিচ্ছেদ অসম্ভব।
আমি আবারও একটু বিরক্ত হয়ে ওকে বলেছিলাম,
আরে ব্যাটা এতকথা বলিস কেন?বলে দেখ না।যদি রাজী হয় বিয়ে করে নিস।
বিপ্পব:আচ্ছা যদি প্রেমের প্রস্তাব দিই,
তাহলে কি ঘটবে?
এই মেয়ের যেরকম মনমানসিকতা,
নিশ্চিত রাজী হবে না বরং আমাকে তথাকথিত খারাপ ছেলে ভেবে আর কোনোদিনই আমার সাথে কথা বলবে না।যা আমার জন্যে পীড়াদায়ক হবে।
নিশ্চিত রাজী হবে না বরং আমাকে তথাকথিত খারাপ ছেলে ভেবে আর কোনোদিনই আমার সাথে কথা বলবে না।যা আমার জন্যে পীড়াদায়ক হবে।
অপরদিকে,
যদিও মানুষ বলে প্রেম করে বিয়ে করলে দাম্পত্য জীবন সুখের হয় এবং ভালবাসার বন্ধন চির অটুট থাকে।
কিন্তু আমার কাছে আসলে এমনটা মনে হয় না।কারণ সাংসারিক জীবনের জটিলতার চক্রে পতিত হয়ে ভালবাসার সেই স্বর্গীয় অনুভূতি ক্রমান্বয়ে বিলীন হয়ে যায় এবং সেটাও জীবসত্তার স্বাভাবিক প্রবণতা বলে আমার মনে হয়।
যদিও মানুষ বলে প্রেম করে বিয়ে করলে দাম্পত্য জীবন সুখের হয় এবং ভালবাসার বন্ধন চির অটুট থাকে।
কিন্তু আমার কাছে আসলে এমনটা মনে হয় না।কারণ সাংসারিক জীবনের জটিলতার চক্রে পতিত হয়ে ভালবাসার সেই স্বর্গীয় অনুভূতি ক্রমান্বয়ে বিলীন হয়ে যায় এবং সেটাও জীবসত্তার স্বাভাবিক প্রবণতা বলে আমার মনে হয়।
No comments